নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দরের দেউলী চৌরাপাড়া ও লক্ষ্মণখোলা এলাকায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ২৪ ঘণ্টায় কয়েকশ মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

রোববার সন্ধ্যায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নাসিমা আক্তার (২৭) নামে এক গার্মেন্ট কর্মী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার নাজির আহমদের বাড়ির ভাড়াটিয়া নাসিমা সিদ্ধিরগঞ্জের বনানী গার্মেন্টে কাজ করতেন।

রোববার সাহরি খাওয়ার পর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন নাসিমা। তিনি এক নারী সহকর্মীর সাথে নাজির আহমেদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। রোববার সকালে নাসিমা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে সহকর্মী তাকে স্যালাইন খেতে দিয়ে কাজে চলে যান। সন্ধ্যায় ফিরে ঘরে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান তার সহকর্মী। পরে ঘরের টিনের বেড়া কেটে নাসিমার লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। বাড়ির মালিক নাজির আহমেদ নাসিমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসী জানান, এলাকার পানিতে সমস্যা আছে। দীর্ঘদিন ধরে পানিতে কটু গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ পানি পান করেই অসুস্থ হচ্ছেন এলাকাবাসী। এ অবস্থায় পবিত্র রমজান মাসে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে ওয়াসার পানি পান করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মণখোলা এলাকায় শিশু ও নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। ওই সময় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন অনেক মানুষ। ভাইরোলজিস্ট টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারেন ওয়াসার পানি পান করে ‘ভিবরিও কলেরি’ নামক কলেরাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।

বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কবীর হোসেন বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেছেন বিষয়টি তার জানা নেই। তবে কোনো রোগী বাড়িতে মারা গিয়ে থাকলে সেটি তিনি জানেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। অনেকে ভর্তিও রয়েছেন। তাদের কেউ মারা যায়নি।