- সারাদেশ
- একসঙ্গে বিষপানে আত্মহত্যা তরুণ-তরুণীর
একসঙ্গে বিষপানে আত্মহত্যা তরুণ-তরুণীর

প্রতীকী ছবি
পিরোজপুরের নাজিরপুরে একসঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে তরুণ-তরুণী। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তরুণীর বাড়ির সামনের কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। তরুণ-তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে পারিবারিক জটিলতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
তরুণী মারিয়া খানম নাজিরপুরের কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের উত্তর কলারদোয়ানিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। সে উপজেলার মুগারঝোর দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ত। তরুণ ইয়াছিন তালুকদার নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের উলিবুনিয়া গ্রামের হাফিজ তালুকদারের ছেলে। ইয়াছিন তার বাবার সঙ্গে ধান-চালের ব্যবসা করত। নিহতরা সম্পর্কে একে অপরের আত্মীয়।
নিহত ইয়াছিনের বাবা জানান, তার ছেলে তিন-চার দিন আগে ফুফা মোজাম্মেল হক হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফুফাতো ভাই ছাব্বিরের সঙ্গে তার দোকানে ঘুমাতে যায়। কিন্তু গরমের কথা বলে সেখান থেকে বের হয়। রাত ৩টার দিকে ইয়াছিনের ফুফু ছাবিনা ইয়াছমিন ফোন করে জানান, ইয়াছিন তাদের বাড়ির পাশের এক মেয়ের সঙ্গে বিষপান করেছে।
নিহত মারিয়া খানমের মা শামীমা নাছরিন জানান, তার মেয়ে বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে ১০টার দিকে তার কক্ষে ঘুমাতে যায়। রাত ২টার দিকে বাড়ির সামনের কবরস্থান থেকে ‘বাঁচাও বাঁচাও' বলে চিৎকার শুনতে পান। পরে সেখানে গিয়ে মারিয়া ও ইয়াছিনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
নিহতদের পরিবার সূত্র জানায়, তাদের হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অসিত মিস্ত্রি জানান, মারিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মারিয়ার বাবা বাড়িতে থাকেন না। ওই তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক পরিবারটি মেনে না নেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তারা ধারণা করছেন।
নাজিরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, আত্মহত্যার কারণ নিয়ে নিহতদের পরিবারের কেউই মুখ খুলছেন না। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন