- সারাদেশ
- গ্রাম্য সংঘর্ষ নিরসনের লক্ষ্যে সালথায় মতবিনিময় সভা
গ্রাম্য সংঘর্ষ নিরসনের লক্ষ্যে সালথায় মতবিনিময় সভা

ফরিদপুরের সালথায় চলমান গ্রাম্য সংঘর্ষ নিরসনের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি, গ্রাম্য মাতুব্বর ও সাংবাদিকদের সাথে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো.আলিমুজ্জামানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সালথা উপজেলা মাল্টিপারপাস হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সাদীকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে ও রাজনৈতিক প্রতিনিধি কৃষি গবেষক শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা সার্কেল) মো.সুমিনুর রহমান, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উজ্জামান ফকির মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আটঘর ইউপি চেয়ারম্যান মো: শহীদুল হাসান খান সোহাগ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম, সালথা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লেবু মোল্যাসহ উপঝেরার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও গ্রাম্য মাতুব্বরা।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সালথা থানার এস আই গোলাম মোন্তাসির মারুফ। এসময় উপস্থিত জনপ্রতিনিধি, গ্রাম্য মাতুব্বর, সাংবাদিক উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিটি গ্রাম থেকে ঢাল-সড়কি প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে। এ এলাকায় আর কোন সংঘর্ষ আমরা দেখতে চাই না। পুলিশ কোন সংঘর্ষকারীকে ছাড় দিবে না।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বলেন, কোন অন্যায়কারীকে পুলিশ ছাড় দিবে না। সংঘর্ষ করে কেউ লাভবান হতে পারে না। বিপদে পড়লে প্রতিবেশিই আপনার পাশে থাকবে। তাই প্রতিবেশির সাথে মিলেমিশে বসবাস করুন। দাঙ্গা-সংঘর্ষ পরিহার করুন। যেকোন প্রয়োজনে পুলিশকে জানান, আইন কখনো হাতে তুলে নিবেন না।
উল্লেখ্য, ফরিদপুরের সালথায় গত ১১ই নভেম্বর ২য় ধাপে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হলেও উপজেলার সর্বত্র নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ও গ্রাম্য দলপক্ষকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে। নির্বাচন পরবর্তী দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারনে সাধারণ জন-জীবন ব্যাহত হচ্ছে। চলতি মাসে উপজেলার সর্বত্র প্রায় ২৫/৩০ টির মত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আটক করা হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান, গ্রাম্য মাতুব্বরসহ শতাধিক ব্যাক্তিকে।
মন্তব্য করুন