কর্মকর্তাদের বারবার বদলির কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ছয় লেন ও সিলেটে ডুয়েল গেজ রেল যোগাযোগ উন্নীতকরণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'দ্রুত সময়ের মধ্যে এ দুটি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ শুরু না হলে আরও দুর্ঘটনা বাড়বে এবং উন্নয়ন ব্যয় বাড়বে।'

শনিবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন যোগদানকৃত নার্সিং কর্মকর্তাদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, দেশের ৫ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একজন নার্স। দুই হাজার মানুষের জন্য একজন ডাক্তার। যা অত্যন্ত অপ্রতুল। মানুষের প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় ডাক্তার ও নার্স আরও বাড়াতে হবে।

বহির্বিশ্বে নার্সদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি নার্সদের কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ভেঙে বিশাল জায়গা নিয়ে ওসমানী হাসপাতালের দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'নগরীর শাহী ঈদগাহে দ্বিতীয় ওসমানী হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এজন্য ওইখানে জায়গাও নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু শুনতে পেরেছি, সেই সরকারি জায়গা দখল করে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি দুষ্টচক্র। সিলেট মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে বলছি, দ্রুত সেই চক্রকে চিহ্নিত করুন। যাতে বেআইনিভাবে কেউ এই সরকারি জায়গা দখল করতে না পারে।'

বিএনএ ওসমানী হাসপাতাল শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. ময়নুল হক, উপাধ্যক্ষ ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী, কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুর রহমান, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নাজমুল হাসান প্রমুখ।