পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে চট্টগ্রামেও। গতকাল শনিবার প্রথম দিনে যাত্রীদের তেমন চাপ ছিল না। এদিন দেওয়া হয়েছে ২৭ এপ্রিলের টিকিট। নারীদের সুবিধার্থে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলাদা কাউন্টারের। কালোবাজারি রোধে স্টেশনে সজাগ দৃষ্টি থাকছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। এবার রেলে যাতায়াতে যাত্রীদের এনআইডি অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন রুটে ১০টি আন্তঃনগর ট্রেনের সাত হাজার ৩৪টি টিকিট বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে অর্ধেক পাওয়া যাবে স্টেশনের কাউন্টারে এবং অবশিষ্ট টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম চলবে আরও চার দিন। আজ রোববার বিক্রি করা হবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। প্রথম দিন হওয়ায় যাত্রীদের চাপ তেমন ছিল না। তবে সরকারি ছুটি অনুযায়ী আজ থেকে চাপ বাড়তে পারে। এবার চট্টগ্রাম থেকে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এই দুটি ট্রেনের টিকিটও অগ্রিম বিক্রিও করা হচ্ছে।

যে কাউন্টারে যে টিকিট: চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ১০টি কাউন্টারে আলাদা আলাদা ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। ১ নম্বর কাউন্টারে নারী, ওয়ারেন্ট ও রেলওয়ের পাসধারীদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ২ নম্বর কাউন্টারে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এপপ্রেস (স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার), ৩ নম্বর কাউন্টারে পাহাড়িকা ও উদয়ন, ৪ নম্বর কাউন্টারে মহানগর গোধূলি ও মহানগর এপপ্রেস, ৫ নম্বর কাউন্টারে তূর্ণা এপপ্রেস, ৬ নম্বর কাউন্টারে চট্টলা ও বিজয় এপপ্রেস (স্নিগ্ধা, শোভন চেয়ার ও শোভন), ৭ নম্বর কাউন্টারে মেঘনা এপপ্রেস ও চাঁদপুর স্পেশাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। অপর তিন কাউন্টারে অন্যান্য টেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।