- সারাদেশ
- ঢিল ছোঁড়া নিয়ে বিবাদের জেরে শিশু রিমনকে হত্যা
ঢিল ছোঁড়া নিয়ে বিবাদের জেরে শিশু রিমনকে হত্যা
৪ আসামি গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার ৭ বছর বয়সী শিশু রিমন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- ইমন (১৭), মো. আল-আমিন (৩৫), মো. আনোয়ার হোসেন বাবু (২৫) এবং মো. মানিক মিয়া (৪২)। রোববার সোনারগাঁওয়ের নয়ানগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, গত ১৬ এপ্রিল বিকেলে মো. জুনায়েদ হাসান রিমন বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে রিমন আর বাসায় ফিরে আসেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন (১৭ এপ্রিল) সকালে নয়ানগর এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে রিমনের লাশ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে রিমনের বাবা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ২৩ এপ্রিল পিবিআই নারায়ণগঞ্জ মামলাটি গ্রহণ করে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পিবিআই।
মনিরুল ইসলাম আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের দু'দিন আগে গ্রেপ্তারকৃত আসামি আল-আমিনের ভাইয়ের ছেলের সাথে জুনায়েদ হাসান রিমনের ইটের টুকরা দিয়ে ঢিল ছোঁড়া কেন্দ্র করে বিবাদ হয়। পরবর্তীতে এই বিবাদ দুই শিশুর অভিভাবকদের পর্যায়ে চলে যায়। এছাড়াও পূর্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আল-আমিন এবং তার ভাই ও অপর আসামি আনোয়ার হোসেন বাবুর মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার আগের দিন দুপুরে ১৭ বছর বয়সী অপ্রাপ্তবয়স্ক ইমনকে এক হাজার টাকার প্রলোভনে রিমনকে খেলার ছলে নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি করে আল-আমিন এবং তার ভাই আনোয়ার হোসেন বাবু। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রিমনকে কিছুটা দূরের ধানক্ষেতের আইলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকা আল-আমিন ও বাবু অবস্থান করছিল। তাদের কাছাকাছি পৌঁছাতেই আল-আমিন কোমড় থেকে গামছা বের করে রিমনের মুখ চেপে ধরে। এসময় ইমন হাতে থাকা চাকু নিয়ে রিমনের গলায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এরপর তার লাশ ফেলে পালিয়ে আসে।
পরদিন এলাকাবাসীর ধানক্ষেতে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে রিমনের মরদেহ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। মামলার পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন