- সারাদেশ
- ঈদে দুর্ভোগ বাড়াবে অর্ধসমাপ্ত ৪২ সড়ক
ঈদে দুর্ভোগ বাড়াবে অর্ধসমাপ্ত ৪২ সড়ক

প্রতীকী ছবি
ঈদে বাড়ি ফিরতে ইচ্ছুক মানুষদের জন্য আগেভাগেই সংস্কার করা হয়েছে খুলনার মহাসড়কগুলো। তবে মহাসড়কের এই স্বস্তি ম্লান হয়ে যাচ্ছে মহানগরীর ভেতরের ভাঙাচোরা সড়কে। বর্তমানে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৪২টি সড়কের সংস্কার কাজ চলছে। এর মধ্যে কোনো সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়েছে। কোথাও সড়ক খুঁড়ে বালু ও খোয়া ফেলা হচ্ছে। কোথাও ইটের টুকরা ফেলে রাখা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে জোড়াতালি দিয়ে সড়কগুলো চলাচল উপযোগী করা হচ্ছে। কিন্তু উঁচু-নিচু সড়ক ও ধুলাবালিতে নাকাল হচ্ছে মানুষ।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) থেকে জানা গেছে, কেসিসির গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় নগরীর ভেতরে সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। গত তিন বছরে ৩৬০টি সড়কের সংস্কার শেষ হয়েছে। বর্তমানে ২৭টি ওয়ার্ডে ৪২টি সড়কের কাজ মাঝপথে রয়েছে। সড়কের কাজ শুরু করতে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে আরও প্রায় ১৭টি।
নগরীর মুজগুন্নী মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, কার্পেটিং তুলে ফেলে সড়কে ইটের খোয়া ফেলা হয়েছে। সেগুলো ভারী যন্ত্র দিয়ে সমান করে বালু ফেলা হয়েছে। বাসসহ ভারী যানবাহন চলায় ইটের খোয়া উঠে সড়কে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।
মুজগুন্নী মহাসড়কেই ৫০০ শয্যা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সাতটি বেসরকারি হাসপাতাল, প্রায় দেড় ডজন ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বেশকিছু আবাসিক এলাকা রয়েছে। প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে লক্ষাধিক মানুষ। সড়কে কাজ অর্ধসমাপ্ত থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বেশি হচ্ছে।
ওই সড়কে ইজিবাইকে বসে কথা হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবিকা সেঁজুতি রানীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ভাঙা সড়কে ঝাঁকি লেগে এবং ধুলোয় অনেক কষ্ট হয়। দ্রুত কাজটি শেষ করলে সবাই বেঁচে যাই।
নগরীর শামসুর রহমান সড়ক ঘুরে দেখা যায়, ইটের খোয়া বিছিয়ে সমান করা হয়েছে। সেখানে ধুলাবালিতে নাকাল হচ্ছে মানুষ। নগরীর ডাকবাংলো সিমেট্রি রোড, গোবরচাকা প্রধান সড়ক, শেখপাড়া বাজার সড়ক, হাজি ইসমাইল লিংক রোডসহ কয়েকটি সড়কে একই চিত্র দেখা গেছে। এসব সড়কে ইটের খোয়া ও বালু ফেলে সমান করা হয়েছে। প্রচণ্ড ধুলাবালির কারণে আশপাশের দোকান, পথচারী, রিকশা-ইজিবাইকের যাত্রীদের অবস্থা শোচনীয়। এ ছাড়া কিছু অংশে খোয়া সরে গিয়ে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়েছে। গর্তের ঝাঁকিতে কষ্ট বাড়ছে মানুষের।
কেসিসির প্রকৌশলীরা জানান, সাধারণত শুস্ক মৌসুমে সড়কের কাজ হয়। এজন্য নগরীর ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কের কাজই পুরোদমে চলছে। সড়কের কাজের কারণে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কাজ বন্ধ রাখার সুযোগ নেই।
কেসিসির গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন প্রকল্পের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান সমকালকে বলেন, ঈদের জন্য সংস্কারাধীন সব সড়ক চলাচল উপযোগী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজকালের মধ্যে সড়কগুলো চলাচল উপযোগী করা হবে। ঈদের এক সপ্তাহ পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া যেসব সড়কের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোয় ঈদের পরে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন