দেবীদ্বার পৌরসভার পোনরা এলাকায় বাবরি মিয়ার বাড়ি। রাত হলে আশপাশে বিদ্যুতের আলো থাকলেও তার বাড়িতে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সন্ধ্যার পর বাড়িটিতে কাজ চলে কুপি বাতি, হারিকেন, মোমবাতির মিটমিটে আলোয়। জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিবেশীর বাধার কারণে আবেদনের পাঁচ বছর পরও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি ওই বাড়ির চারটি পরিবার।

বাবরি মিয়া জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে পোনরা এলাকায় ৩০ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করেন তারা। স্ত্রী ও তিন ছেলে নিয়ে এই বাড়িতে বসবাস তার। এই বাড়িতে ১৭ জন সদস্য।

তার বড় ছেলে নাছির উদ্দিন জানান, ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করে এলাকার ১১ পরিবার। বিদ্যুৎ অফিস থেকে ১১টি মিটার অনুমোদন হলেও প্রতিবেশী হুমায়ুন কবির ও তার পরিবারের প্রতিরোধে তাদের চার পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি। সরকারি রাস্তার দুই ফুট ভেতরে হুমায়ুন কবিরের জায়গায় পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় সংযোগ নিতে দেওয়া হচ্ছে না।

হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি যেমন জমি কিনে বাড়ি করেছি, তেমনি বাবরি মিয়াও জমি কিনে বাড়ি করেছেন। আমার কেনা ১৫ শতক জমি মাঠ জরিপে ১২ শতক হয়ে যায়, আর বাবরি মিয়ার জমি ঠিক থাকে- এ কেমন করে হয়? আমার বাকি তিন শতক জমি যতক্ষণ না বুঝে পাব, ততক্ষণ আমার জায়গা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে দেব না।’

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর দেবীদ্বার জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী দিপক কুমার সিংহ বলেন, প্রায় দুই বছর আগে দেবীদ্বারকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়। অথচ বাবরি মিয়ার চার পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত। প্রায় চার দফা এজিএম, ঠিকাদার, পুলিশ নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়েও বাধার কারণে ফিরে আসতে হয়েছে।