ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উপজেলা প্রকৌশলীর কক্ষে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন উপসহকারী প্রকৌশলী মাফিজুর রহমান ও মফিজ খলিফা। তাদের বিবাদ থামাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন স্থানীয় আলামিন ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ বিল্টু। 

বিল্টুর অভিযোগ, তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আওতায় ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পুলিয়া গাবতলা নামক স্থানে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। সে কাজের ভিজিটের জন্য ভাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী  সাদিকুর রহমান আবুল কালাম আজাদকে বৃহস্পতিবার সকালে তার অফিস কক্ষে ফোন করে ডেকে আনেন। 

পরে বেলা ১১ টার দিকে প্রকোশলীর রুমে ঠিকাদার কালাম আজাদ দেখেন উপজেলার দুই উপসহকারী প্রকৌশলী মাফিজুর রহমান ও মফিজ খলিফা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন, যা পরে হাতাহাতিতে গড়ায়।

বিল্টু বলেন, একপর্যায়ে প্রকৌশলীর রুম থেকে তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় মফিজ খলিফাসহ তার সহযোগীরা। পরে সেখানে তাকে আটকে বেধড়ক পিটিয়ে তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মফিজ খলিফা বলেন, ‘সহকর্মী মাফিজুরের সঙ্গে অফিশিয়াল কথাবার্তা নিয়ে সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছে। ঠিকাদারকে সরি বলার জন্য আমার রুমে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে মারধর আর টাকা-মোবাইল কেড়ে নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

মাফিজুর রহমান বলেন, পুলিয়ার গাবতলা এলাকায় আলামিন ট্রেডার্সের কার্পেটিংয়ের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এসও, ঠিকাদারসহ প্রকৌশলী সাদিকুর রহমানের কক্ষে তারা কথা বলছিলেন। এসময় হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে মফিজ খলিফা তার উপর চড়াও হন এবং মারধর করেন। 

দুই প্রকৌশলীর মারামারির ঘটনা জানতে পেরে ফরিদপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফারুক হোসেন তার অফিসে তাদের তলব করেছেন। 

ভাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদিকুর রহমান  সমকালকে বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারবো না।’

ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, ‘আমার কাছে একজন ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন। তার একজন সহকর্মী  তাকে মেরেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ’

ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ সাপেক্ষে তদন্ত করা হবে। আমরা ভাঙ্গা থানার ওসির সঙ্গে কথা বলছি।’