- সারাদেশ
- সাবেক স্ত্রীকে ফাঁসাতে মামাকে হত্যা
সাবেক স্ত্রীকে ফাঁসাতে মামাকে হত্যা

প্রতীকী ছবি
নোয়াখালী সদর উপজেলায় শৌচাগারের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে যুবক ওমর ফারুকের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এ হত্যায় জড়িত আনছারুল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
করিম কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমাছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের ইসমাইলের ছেলে। নিহত ফারুক একই ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের খাতুবের বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের ছেলে।
সোমবার নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর চাকলা গ্রামের হারুনের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে আসামি আনছারুল করিমের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। গত ২০ এপ্রিল তাদের বিচ্ছেদ হয়। বিষয়টি নিয়ে করিম তার স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে সাবেক স্ত্রী ও তার পরিবারকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন আনছারুল।
পুলিশ সুপার বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি তার চাচাতো মামা ওমর ফারুককে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে গত বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়ি উত্তর চাকলায় নিয়ে আসে। আনছারুল তার আরেক সহযোগীসহ একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওমরকে ওই বাড়ির উত্তর পাশে সুপারি বাগানের মধ্যে নিয়ে শার্ট খুলে গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে। এরপর আসামি বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর লাশ ফেলে চট্টগ্রামে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার চার দিন পর প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অপর পলাতক আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এর আগে রোববার দুপুরে ওমর ফারুকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কালাদরাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম জানান, পচা গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
সুধারাম মডেল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক মা-মেয়ে ও ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন