- সারাদেশ
- বৃষ্টি হলেই সড়কে দুর্ভোগ
বৃষ্টি হলেই সড়কে দুর্ভোগ

ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়কের গর্তে জমে আছে বৃষ্টির পানি সমকাল
পিচঢালা সড়ক হওয়ার কথা মসৃণ, মানুষ ও যানবাহন চলাচলে স্বস্তিদায়ক। সড়ক উন্নয়নে অগ্রগতি হলেও স্বস্তির বদলে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। এ অবস্থা ত্রিশাল উপজেলার খানাখন্দে ভরা বিভিন্ন সড়কে। বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা উপজেলাবাসীর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সাড়ে ছয় কিলোমিটার সড়ক, ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক, ত্রিশাল-কানিহারী ছয় কিলোমিটার সড়ক, মোক্ষপুর-কোনাবাখাইল-বগার বাজার সাত কিলোমিটার সড়ক, ত্রিশাল বাজার সড়কের দেড় কিলোমিটার, কাশিগঞ্জ-রায়েরগ্রাম-আমতলা সড়কের চার কিলোমিটার। এ ছাড়া কাশিগঞ্জ-সাউথকান্দা সড়কের দুই কিলোমিটার, সানকিভাঙ্গা-সাপখালি বাজার সড়কের তিন কিলোমিটার ও কানহর-মিলন বাজার সড়কের অবস্থা বেহাল। এর মধ্যে এলজিইডির অধীন ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী, ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া, কাশিগঞ্জ-রায়েরগ্রাম আমতলা, কাশিগঞ্জ-সাউথকান্দা, সানকিভাঙ্গা-সাপখালি বাজার ও কানহর-মিলন বাজার সড়ক। ত্রিশাল-কানিহারী ও বগার বাজার মোক্ষপুর-কোনাবাখাইল সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের এবং ত্রিশাল বাজার সড়ক পৌরসভার অধীন।
সরেজমিন কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেন উপজেলার দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলসহ ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম ও কান্দানিয়া ইউনিয়নের হাজারো লোকজন। চলাচল করে অসংখ্য মৎস্য ও পণ্যবাহী যানবাহন। ২০১৯ সালে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়ক সংস্কার কাজ শেষ হয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই অলহরি ঘাটপাড় ও মঠবাড়ী গ্রামের হামিদ আলীর বাড়ির কাছে সড়কের বিশাল অংশজুড়ে গর্ত হয়। এ ছাড়া পুরো সড়কেই রয়েছে খানাখন্দ।
ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়কেও দুই উপজেলার ব্যবসায়ীসহ নানা পেশাজীবী হাজারো মানুষের চলাচল। ছয় বছর ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই সড়কে চলাচলকারীরা। এ সড়কে জনদুর্ভোগ নিয়ে সমকালে তিনবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার ও সংশ্নিষ্টদের গাফিলতির কারণে গত চার বছরেও শেষ হয়নি ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ের সংস্কার কাজ। কর্দমাক্ত আর হাঁটুসমান পানিতে ডুবে যাওয়া সড়ক দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচলের শেষ কবে? এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।
মঠবাড়ী গ্রামের আতাউর রহমান আতা, বাবলু মিয়া ও ধানীখোলা ভাওয়ালিয়া গ্রামের ফারুক মিয়া ও কাজল আক্ষেপ করে বলেন, আর কত বক্তব্য নিয়ে, ছবি তুলে সংবাদ করবেন। লাভ কী? আপনারা সাধারণ মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ বুঝলেই লাভ কী? যারা বোঝার (সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ) তারা বোঝেন না।
দুর্ভোগে নাকাল ত্রিশাল-কানিহারী সড়কে চলাচলকারীরাও। অসংখ্য খানাখন্দ। সড়কটি চলাচলের অনুপোযোগী হওয়ায় কাকচর গ্রাম দিয়ে না গিয়ে গত দুই বছর ধরে দরিল্যা বা গফাকুঁড়ি সড়ক হয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনকে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের দাবি, নিম্নমানের কাজ নয় বরং সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্যবাহী ট্রাক চলাচল ও সড়কের দুই পাশে অপরিকল্পিত পুকুর খনন করে মৎস্য খামার গড়ে তোলায়।
ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। সড়কগুলো সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন