তাহিরপুরের হাওরে ধানকাটা শেষে হওয়ায় সবক’টি স্লুইসগেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড তাহিরপুর শাখার আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীরের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাবিটা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সদস্য,জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক ও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত সকলের মতামত ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতামত নিয়ে উপজেলার শনির হাওর ও মাটিয়ান হাওরের স্লুইসগেট দিয়ে পানি প্রবেশ করানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়াও যে সব হাওরে স্লুইস গেইট নেই সেগুলোতেও সরজমিন পরিদর্শন করে স্থানীয় কৃষকদের মতামত নিয়ে বাঁধ কেটে হাওরের পানি প্রবেশ করানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনির হাওরের স্লুইস গেট খোলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিয়া হোসেনকে এবং মাটিয়ান হাওরের স্লুইসগেট খোলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাটিয়ান হাওরের নিয়োজিত পাহাড়াদার বাবুল মিয়াকে।

সভায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান-উদ-দৌলা,উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন,থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুহেল রানা,উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুছ ছোবাহান আখঞ্জি,উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম,পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান সেলিম,তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলী,সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন,দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ,সাংবাদিক বাবরুল হাসান বাবলু,রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ প্রমূখ।

তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, নদীর পানি ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।দ্রুত সময়ের মধ্যে স্লুইসগেট দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ না করালে হাওরের যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীর বলেন, তাহিরপুর উপজেলার সবগুলো হাওরের ধান কাটা শেষ। হাওরগুলোর বাঁধ যেন সুরক্ষিত থাকে সে লক্ষ্যে শনির হাওর ও মাটিয়ান হাওরের স্লুইস গেট দিয়ে পানি প্রবেশ করানোর জন্য সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন জানান, তাহিরপুরের ইউএনও অফিস থেকে তাকে ফোনে জানানো হয়েছে, তাহিরপুর উপজেলায় ধান কাটা শেষ হয়েছে, অন্যদিকে নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । এ অবস্থায় করণীয় বিষয়ে মতামত চাইলে হাওরের সবগুলো হাওরের স্লুইস গেটের ঢালা জরুরি ভিত্তিতে খুলে দেয়ার জন্য তিনি তাদের বলে দিয়েছেন।