আগামী ৬ জুন আমপ্রেমীদের কাছে আসছে আমের রাজাখ্যাত ল্যাংড়া। এরও আগে ২৮ মে আসবে রাজশাহীর আরেক বিখ্যাত আম হিমসাগর বা খিরসাপাত। আর মৌসুমের শুরুর ভালো আমখ্যাত গোপালভোগ আসবে ২০ মে থেকে।

বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের এক সভায় বাজারে আম নামানোর সম্ভাব্য এই সময়সীমা প্রকাশ করা হয়। এতে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে ছিলেন না কোনো আমচাষি ও ব্যবসায়ী।

সভায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শরীফুল হক জানান, ১৫ মে গুটি আম, গোপালভোগ ২০ মে, লক্ষণভোগ ২৫ মে, রানীপছন্দ ২৫ মে, হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ও ফজলী ১৫ জুন, আশ্বিনা ও বারী-৪ ১০ জুলাই, গৌড়মতি ১৫ জুলাই ও ইলামতি আম ২০ আগস্টে নামানো যাবে।

তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ, চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সম্ভাব্য এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কল্যাণ চৌধুরী সভায় কোনো চাষী বা ব্যবসায়ী আছেন কি-না জানতে চাইলে একজন চাষি ও ব্যবসায়ীকেও পাওয়া যায়নি।

রাজশাহীর বাঘার আমচাষী শফিকুল ইসলাম ছানা বলেন, দুই বছর ধরেই এই তারিখই আম নামানোর জন্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। এটা ঠিক আছে। তিনি বলেন, এবার রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সারাদেশেই আম কম হয়েছে। তবে নওগাঁয় ভালো হয়েছে। সেখানে ছোট গাছে আম ভালো আছে। রাজশাহীর ৪০ শতাংশ গাছে এবার আম আছে। কোনোভাবেই এবার আমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। তাই বাজার দর ভালো থাকবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, এবার ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এতে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ১৭ হাজার মেট্টিক টন। তবে এবার কম মুকুল আসায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও কাছাকাছি থাকবে। কারণ এবার কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা শীলাবৃষ্টি হয়নি। এছাড়া গাছে কম আম থাকায় আকারে বড় হয়েছে। বড় গাছে আম কম এলেও ছোট ছোট গাছে প্রচুর আম রয়েছে। দেশের মানুষ এবার ভালোভাবেই রাজশাহীর আম খেতে পারবে। ফলন কম হওয়ায় দামটাও ভালো পাবেন চাষিরা।