- সারাদেশ
- সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, কাজ বন্ধ করে দিলেন প্রকৌশলী
সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, কাজ বন্ধ করে দিলেন প্রকৌশলী

সড়কের উন্নয়নে নিম্নমানের ইট, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন সীতাকুণ্ড পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী। গত বুধবার থেকে এ কাজ বন্ধ রয়েছে। ব্যবহূত ইট, বালু ও সিমেন্ট যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষার পর এ কাজ ফের শুরু হবে। এর আগে স্থানীয় বাসিন্দারা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের এ অভিযোগ তোলেন।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথমটির কাজ পায় সাইফকো বিল্ডার্স। এ ছাড়া দ্বিতীয়টি আবদুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ ও তৃতীয়টির কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শামশু এন্টারপ্রাইজ। এলজিইডির জিবি ফান্ডের অর্থায়নে তিনটি প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজ চলছিল।
এলাকাবাসী জানায়, কয়েক দিন আগে সড়কের কাজ শুরু হলে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার দেখে বাধা দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরও নির্মাণকাজ চালাতে থাকেন সংশ্নিষ্টরা। পরে কয়েকজন ব্যক্তি বিষয়টি পৌরসভার মেয়র ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানান। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়।
মহাদেবপুর এলাকায় সড়কের কাজের তত্ত্বাবধানে থাকা সালাউদ্দিন মাঝি দুই নম্বর ইট ব্যবহারের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'ঠিকাদার যা পাঠান, তা দিয়েই কাজ করতে হয়। দুই ট্রাক দুই নম্বর ইট পাঠিয়েছেন ঠিকাদার।'
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল্লাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সুমনা আক্তারের স্বামী মো. হারুন বলেন, 'আমি এখনও কাজ শুরু করিনি। আমার নাম ব্যবহার করে কেউ কাজ করলে দ্বায়ভার আমি নেব কেন?'
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী নুরনবী বলেন, 'নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়ায় যাচাই-বাছাই না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। যেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তা অপসারণ করা হবে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।'
সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন, 'মন্ত্রণালয় থেকে অনেক তদবির করে কাজ এনেছি। নিম্নমানের একটি ইটও ব্যবহার হয়ে থাকে তা অপসারণ করা হবে।' কাজে ত্রুটি থাকলে বিল আটকে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, প্রকল্পগুলোর মধ্যে সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজ সড়কের পূর্বাংশে মহাদেবপুরের প্রেমতলা টেম্পল সড়ক আরসিসি করার জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা। একই সড়কের অন্য অংশের আরসিসির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৫০০ মিটার ড্রেন নির্মাণে ব্যয় হবে ৯০ লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন