মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষার্থীর মা থানায় মামলা করেছেন। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কিশোরসহ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।    

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার দুই নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্রামে ভাড়া বাড়িতে ওই ছাত্রী তার পরিবারের সঙ্গে থাকে। সে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার মা জেলার সাটুরিয়া উপজেলার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

গত ৮ মে বিকেলে ওই ছাত্রীর মা কর্মস্থলে কাজে ছিলেন। এ সময় বাড়িতে একা পেয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী এক কিশোর (১৫)। পরে ভুক্তভোগী তার মা বাড়িতে এলে তাকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। এরপর মানসম্মানের ভয়ে ঘটনাটি চেপে যায় পরিবারটি। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি জানার পর পুলিশ অভিযুক্ত ওই কিশোর ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে শামীম হোসেন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতেই ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ওই কিশোরসহ চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। 

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার জানান, শুক্রবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার কিশোর ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার জন্য শামীমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ওসি রউফ সরকার বলেন, শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার কিশোরকে কিশোর আদালতে এবং গ্রেপ্তার শামীমকে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুই আসামিকেও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।