রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনায় মান্নান ফকির ওরফে মান্দু (৬৫) নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের সাহাজ উদ্দিন ফকিরের ছেলে। এ সময় হামিদা, রাজা ও মিরাজ নামের তিনজন আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ঝুমঝুম বেগম, ঋতু আক্তার ও সাইদুল নামের তিন জনকে আটক করেছে।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মান্নান ফকিরের বাড়ির পাশে তার শালা আবেদ আলীর বিক্রি করা সাড়ে ১১ শতাংশ জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য মাপার নির্ধারিত দিন ছিল। এজন্য ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, মেম্বার সালাম ও স্থানীয় আমিন ওহাবসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। সবাই চলে যাওয়ার পর মান্নান তার সীমানায় পিলার বসাতে গেলে আবেদ আলীর কাছ থেকে কেনা জমির মালিক নুরাল মেম্বারের ছেলে শামীম বাধা দেন। দুপুর দেড়টার দিকে শামীম, মোস্তফা, মোমিন, মইন, স্বপনসহ ৬-৭ জন ঘটনাস্থলে এসে মান্নানের মাথায় দা দিয়ে আঘাত করে জখম করেন। 

মান্নানকে বাঁচাতে তার মেয়ে হামিদা বেগম ও ছেলে মিরাজ এগিয়ে এলে তাদেরও মারপিট করে গুরুতর জখম করা হয়। তাদেরকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে মান্নান ফকিরের মৃত্যু হয়। 

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।