কিশোরগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের অ্যাক্টিভ একাডেমি মাঠের পাশে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে দফায় দফায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। 

কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ালশেল নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৩টা থেকে হোসেন্দী অ্যাক্টিভ একাডেমি মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন। 

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পাশেই হোসেন্দী মাঠে যুবলীগ পথসভার আয়োজন করে। এ সভার আয়োজক উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ভিপি হেলাল উদ্দিন। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু। 

অ্যাডভোকেট সোহরাব ও রফিকুল ইসলামের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিরোধ চলে আসছে। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে আজ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

সোহরাব উদ্দিনের সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি ফরিদ উদ্দিন বলেন, শুক্রবার বিকেলে হোসেন্দী বাজার সংলগ্ন অ্যাক্টিভ একাডেমি কিন্ডারগার্টেন মাঠে হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলন চলাকালে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা সম্মেলনে নষ্ট করতে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ হামলায় আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। হামলা প্রতিহত করে সম্মেলন করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুর বক্তব্য এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে আটটা) পাওয়া যায়নি।