ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাকে আটক না করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে তথ্য প্রদানকারীকে আটক করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

আটক যুবক ডাঙ্গারপাড় গ্রামের ইমরান শেখ (সবুজ)। সে মাদারীপুর সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পরে সন্ধ্যায় তাকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার রাতে ঘারুয়া গ্রামের রাম নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় 'মাদক বিক্রেতা' হাবি শেখের কাছে আসে। এ সময় এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই পালিয়ে গেলেও নগদ অর্থসহ এক ক্রেতাকে আটক করেন এলাকাবাসী। কিন্তু ঘারুয়া গ্রামের মেহেদীসহ প্রভাবশালীরা তাকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর মেহেদী ও হাবি শেখ গা-ঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার সময় এলাকাবাসীর পক্ষে ইমরান ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাকে না পেয়ে তথ্য প্রদানকারী ইমরানকে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি এবং প্রত্যক্ষদর্শী জহির মাতুব্বর, বাচ্চু শেখ ও লিটন শেখ অভিযোগ করেন, এলাকায় একটি চক্র ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবসা করছে। এর সঙ্গে জড়িতদের না খুঁজে নিরীহ ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। ইমরানকে আটক না করার জন্য বারবার অনুরোধ করলেও পুলিশ শোনেনি।

ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুন্সুর মুন্সি বলেন, 'আমি থানায় এসেছি। পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা চলছে।'

পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদ আলম বলেন, 'অভিযোগ হলো, ও (ইমরান) ৯৯৯-এ ফোন দিয়েছে। ও বলেছে, মাদক ও টাকাসহ একজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু ওই রাতে ঘটনাস্থলে মাদক ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকে পাওয়া যায়নি। এ জন্য ইমরানকে আটক করে থানায় আনা হয়।'

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে সমাধান করা হবে। তবে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে তথ্য প্রদানকারীকে আটকের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।