ভ্রাম্যমাণ আদালতের দণ্ডিত হয়ে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পাওয়ার পরের দিনই পুনরায় একই অপরাধে আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারে ১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে শ্রীঘরে যেতে হয়েছে এমএম মনির (৩৭) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে।

বুধবার রাত ১১টার দিকে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার সোলমবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথিত ওই চিকিৎসকের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান।

এম এম মনির বাগেরহাট পৌর শহরের হরিণখানা এলাকার সোহরাব হোসেনের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আহাদ।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আলী হাসান জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোরেলগঞ্জ সোলমবাড়িয়া ফেরিঘাটের আলম হুজুরের বাসার নিচতলা থেকে এম এম মনিরকে আটক করে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর আওতায় ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার আগের দিন ১৭ এপ্রিল দুপুরে কচুয়া উপজেলার জিরো পয়েন্ট এলাকায় আসামির চেম্বারে অভিযান চালিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় আসামি মুচলেকাও প্রদান করেন। এরপরেও তিনি একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করে ডাক্তারের ভুয়া পদবী ব্যবহার করে প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। তার কোনো চিকিৎসক নিবন্ধন নেই বা কোনো মেডিকেল ডিগ্রিও নেই।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৩ বছর ধরে নাক, কান, গলা, চক্ষুসহ বিভিন্ন রোগে অভিজ্ঞ এমন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে এবং মাইকে প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন মনির। তিনি তার সাইনবোর্ড ও ব্যবস্থাপত্রে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি ব্যবহার করেন সেটিও ভুয়া।