বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমন বক্তব্য আশা করা যায় না। দেশনেত্রীকে অন্তরীণ করে কথা বলার স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে সৈয়দপুর বিএনপি কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে এক কর্মী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ গোটা দেশ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। বিদ্যুতের দাম ৮৫ ভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে কুইক রেন্টালে পরিণত করে হাজার-হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ দেশে পি কে হালদার শুধু একজন নয়, শত শত পি কে হালদার দেশের অর্থ পাচার করছেন। আজ টাকার মান কমেছে, প্রতি ডলারের দর ১০০ টাকা অতিক্রম করেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য অশনি সংকেত। দেশ শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়ার পথে গেলেও, তাদের মাথা ব্যথা নেই।

তিনি বলেন, আন্দোলনের ডাক দেওয়া মাত্রই সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সারাদেশে বিএনপির ২৫ লাখ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ৬০০ নেতাকে গুম ও নানা বাহানায় ক্রসফায়ার দিয়েছে। আজ দানব বেশে বুকে বসা এ সরকারকে তাই আন্দোলনের মাধ্যমে উৎখাত করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এর জন্য আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও আইনের শাসন নিয়ে তিনি বলেন, কথায় কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। তারা শুধু বহুতল বাড়ি আর দামি গাড়ি করতে ব্যস্ত।  

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা শওকত হায়াত শাহ-এর সঞ্চালনায় কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য  ইশরাক হোসেন,  রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব দুলু, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান ওয়াদুদ, রংপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আ. খালেক, সৈয়দপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এসএম ওবায়দুল হক,  উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহিন আক্তার, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রেনু অফজাল, সাধারণ সম্পাদক রুপা বেগমসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে রংপুর জেলা বিএনপির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বিপুর আকস্মিক মৃত্যুতে মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং বিএনপি মহাসচিব তার পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তার নগদ চেক প্রদান করেন।