- সারাদেশ
- সুজানগরে কালভার্ট ভেঙে নির্মাণ সামগ্রী ‘লুট’, তদন্ত কমিটি গঠন
সুজানগরে কালভার্ট ভেঙে নির্মাণ সামগ্রী ‘লুট’, তদন্ত কমিটি গঠন

পাবনার সুজানগরের ফুলদুলিয়া গ্রামে সরকারি রাস্তার কালভার্ট প্রকাশ্যে ভেঙে রড, ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী লুটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সুজানগর উপজেলা প্রশাসন।
তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সমকালকে জানান, গত ৬ মে উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ফুলদুলিয়া গ্রামে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে প্রায় সাত বছর আগে তাঁতীবন্দ ইউপির ফুলদুলিয়া গ্রামের মাটির রাস্তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কালভার্ট নির্মাণ করে দেয়। সড়কটি মাটির হলেও ফসল পরিবহন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচল ও মূমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে নিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করেই ৬ মে ভোরে ফুলদুলিয়া গ্রামের ফজল প্রামাণিক, স্বপন সরকার, শাকিল, আমির, ভবানীপুর গ্রামের মোতালেব ও কামারদুলিয়া গ্রামের শামীম এসে কালভার্টটি ভাঙতে শুরু করে। এ সময় গ্রামবাসী বাধা দিলে তারা হুমকিধামকি দেয়।
জাহাঙ্গীর আরো বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ায় আমি তাদের কালভার্ট ভাঙতে নিষেধ করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী আচরণ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গ্রামবাসীর সকল অনুরোধ নিষেধ উপেক্ষা করে তারা কালভার্ট ভেঙে রড ও অন্যান্য উপকরণ বাড়িতে নিয়ে যায়।
ফুলদুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও তাঁতীবন্দ ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মাবুদ শেখ সমকালকে বলেন, সাত বছর আগে আমি ইউপি সদস্য থাকাকালীন সরকারি বরাদ্দে মাটির সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। সে সময় কেউ নির্মাণ কাজে বাধা দেয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে ফজল প্রামাণিক, স্বপন সরকারসহ কয়েকজন কালভার্টের জমি নিজের বলে দাবি করে ভেঙে নিয়ে গেছে। তাদের জমি নিয়ে দাবি থাকলে সরকারের কাছে অভিযোগ জানাতে পারতো। কিন্তু তারা তা না করে কালভার্ট ভেঙে বাড়িতে নিয়ে গেছে।এ বিষয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানিয়েছি।
সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলম সমকালকে বলেন, ফুলদুলিয়া গ্রামে সরকারি কালভার্ট লুটের বিষয়ে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ফজল প্রামাণিকের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মন্তব্য করুন