সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে জন্ম নেওয়া সন্তানকে নদীতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। গত ৮ মে শ্যামনগর উপজেলার নাপিতখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

এ ঘটনার পর থেকে ওই নারী ও তার প্রেমিক পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা নদী থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে দাফন করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর বাড়ি নাপিতখালী গ্রামে। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ নেই তার। পূর্ব পরিচিত স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সম্প্রতি ওই নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় হলে তাকে বিয়ে ও সন্তানের পিতৃপরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানান প্রেমিক।

এরই মধ্যে গত ৮ মে নিজের বাবার বড়িতে সন্তান জন্ম দেন ওই নারী। এরপর তার সদ্যোজাত শিশুটিকে পরিবারের সহায়তায় বস্তায় ভরে নাপিতখালী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন কয়েকজন গ্রামবাসী নদীতে বস্তাটি পাওয়ার পর খুলে নবজাতকের মৃতদেহ দেখতে পান। এ সময় অভিযুক্ত নারীর বাবা-মা বিষয়টি গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়ে শিশুটির লাশ দাফন করেন।

অভিযুক্ত নারীর বাবা জানান, মেয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। ঘটনার পর তার মেয়ে এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেছে। ওই নারীর মায়ের দাবি, শিশুটি অপরিপক্ক ও মৃত অবস্থায় জন্ম নেয়।

স্থানীয় গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন।

এ প্রসঙ্গে শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, এ বিষয়ে পুলিশকে কেউ কিছু জানায়নি।