নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার ইসদাইরে সিনিয়র জুনিয়রের প্রভাব নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে খুন হয় দশম শ্রেণির ছাত্র ধ্রুব চন্দ্র দাস। বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক দুটি আদালতে গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। 

এ ঘটনায় নিহতের বাবা ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ৬ জনকে ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিহত ধ্রুব চন্দ্র দাস উপজেলার ইসদাইরের মাধব চন্দ্র দাসের ছেলে। সে রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন-ইয়াসীন (১৫), পিয়াস দাস (১৫), অন্তর চন্দ্র শীল (১৫), রিপন (১৬), জয় চন্দ্র দাস (১৭) ও রুদ্র চন্দ্র দাসের (১৬)। তারা সবাই নবম শ্রেণির ছাত্র।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ধ্রুব চন্দ্র দাস (১৬) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাসায় লেখাপাড়া করছিল। রাত ৮টার দিকে সহাপাঠী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাস বাসায় এসে ডেকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে আটটার দিকে রাবেয়া স্কুলের সামনে রাস্তায় পৌঁছালে রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাসসহ আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে ধ্রুবকে খুন করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইমানুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে রিপন, রুদ্র চন্দ্র ও অন্তর চন্দ্র পৃথক দুটি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

এসআই ইমানুর রহমান বলেন, ইয়াসিন, জয় চন্দ্র ও পিয়াসকে একদিনের রিমান্ড নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে নিজ স্কুলের পাশের সড়কে সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে খুন হয় ধ্রুব চন্দ্র দাস।