- সারাদেশ
- ময়মনসিংহে ধর্ষণের শিকার শিশু ও কিশোরী
ময়মনসিংহে ধর্ষণের শিকার শিশু ও কিশোরী

প্রতীকী ছবি
ময়মনসিংহে এক শিশু ও ঈশ্বরগঞ্জে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। শিশু ধর্ষণে অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ময়মনসিংহ নগরীর চরকালীবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকায় গত মঙ্গলবার রাতে এক ছয় বছরের শিশুর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় আবুল মনসুর (৫০)। তিনি পেশায় ড্রাইভার। ভুক্তভোগী শিশুটি তার পাশের ঘরের ভাড়াটিয়ার সন্তান। শিশুটিকে পড়াতে নিয়ে গিয়ে এই অপকর্ম করেন তিনি। ওই সময় শিশুটির চিৎকার শুনে মা ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে মনসুর পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় বুধবার রাতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মনসুরকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি পুলিশের একটি দল।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
অন্যদিকে, জেলার ঈশ্বরগঞ্জে এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার কাকনহাটি গ্রামের হুমায়ুন কবির সবুজের ছেলে সামিউল হাসান অর্ণবের (১৯) সঙ্গে একই গ্রামের এক কিশোরীর (১৬) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শুক্রবার অর্ণব কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে। তারপর বয়স কম থাকার কারণ দেখিয়ে আইন অনুযায়ী কিশোরীকে বিয়ে করা সম্ভব নয় জানিয়ে তাকে শিবপুর পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্রের সামনে একা ফেলে চলে যায়। এরপর কিশোরী বাড়িতে গিয়ে বিস্তারিত জানায়। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে সামিউল হাসান অর্ণবসহ দু'জনকে আসামি করে বুধবার রাতে থানায় একটি মামলা করেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য কিশোরীকে হাসপাতালে ও জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন