শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে চাকরির বিধানাবলি নামের একটি বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনা উপজেলার ৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে ফিরোজ মিয়া লিখিত চাকরির বিধানাবলি নামের বইটি বিক্রি করা হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকরা বাধ্য হয়েই বইটি ৪৩০ টাকা করে ক্রয় করেন। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান প্রধান শিক্ষকদের কাছে বই বিক্রি এবং টাকা আদায় করেন। প্রধান শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে বরাদ্দ আসা টাকা দিয়ে এই বই কিনতে বাধ্য হয়েছেন। এই বই বিক্রি অথবা ক্রয় করার কোনো ধরনের সরকারি চিঠি নেই, শুধু জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে এই বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক প্রধান শিক্ষক।

আলিয়াবাদ সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলেনা আক্তার বলেন, ‘৪৩০ টাকা দিয়ে বইটি কিনেছি। এটিও আনিস স্যারের কাছ থেকে এনেছি।’

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের ভাষ্য, শিক্ষকদের চাকরিবিধি জানা খুব প্রয়োজন। তাই ডিপিওর মৌখিক নির্দেশে উপজেলায় এই বই বিক্রি করা হচ্ছে।

সরকারি টাকায় এভাবে বই কেনা যায় কিনা এর জবাবে মেঘনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়োজনে অনেক কিছুই করতে হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিও) আব্দুল মান্নান বলেন, ‘শিক্ষকদের চাকরিবিধি শেখানোর জন্যই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বইয়ের লেখক ফিরোজ স্যারের (সাবেক অতিরিক্ত সচিব) সঙ্গে কথা বলে মূল্য অনেক কম করে দেওয়া হয়েছে।’