- সারাদেশ
- দুদিন পরই ছিল গ্রীষ্মের ছুটি, হঠাৎ নামল বিষাদ
টেক্সাসে স্কুলে গুলি
দুদিন পরই ছিল গ্রীষ্মের ছুটি, হঠাৎ নামল বিষাদ

ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুদিন পরই গ্রীষ্মের ছুটি পেত। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছিল সেই ছুটির আমেজ। শিক্ষার্থীরাও প্রস্তুতি নিচ্ছিল ছুটি উপভোগের। এরই মধ্যে ঘটলো যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাতে অন্যতম ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা।
মঙ্গলবার টেক্সাসের দক্ষিণে উভালডে এলাকায় রব এলিমেন্টারি স্কুলে এক বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহত হয়েছে। নিহত শিশু শিক্ষার্থীদের বয়স ৭ বছর থেকে ১০ বছর। এই ঘটনায় পুরো যুক্তরাষ্ট্রে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত টেক্সাসের বাসিন্দারা। খবর রয়টার্সের।
স্কুলটির ফেসবুক পেজে সম্প্রতি করা একটি পোস্টে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিল এবং সেখানে তারা মেধা প্রদর্শন এবং উপহার দেওয়া-নেওয়ার আয়োজন করে। স্কুলের শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী, মঙ্গলবার ছিল অ্যাওয়ার্ড ডে। এই উপলক্ষে ‘অভিনব এবং যা ইচ্ছা তাই কর’ ফান অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিনন্দন পোশাক পরতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে স্কুলটির ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়, যেখানে বলা হয়-অত্র এলাকায় গুলিবর্ষণের ঘটনায় এই মুহূর্তে রব এলিমেন্টারি স্কুল লকডাউন অবস্থায় আছে। শিক্ষার্থী এবং স্টাফরা স্কুল ভবনে নিরাপদে আছে।
এরপর দ্বিতীয় বার্তাটি তারা পোস্ট করে। যেখানে লেখা হয়, রব এলিমেন্টারিতে একজন বন্দুকধারী রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে আছেন।
এ সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের স্কুল থেকে দূরে থাকতে আহ্বান জানায়।স্কুলটিতে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ গ্রেডের প্রায় ৫৭০ জন শিশু শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। আর এর ৯০ ভাগই হিস্পানিক।
পরবর্তীতে ঘটনার যা আপডেট আসে তা ভয়ঙ্কর। ১৮ বছর বয়সী এক বন্দুকধারী স্কুলটিতে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহত হয়। খবরটি দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশটিতে আরও একটি মাস শুটিংয়ের ঘটনায় প্রার্থনার পাশাপাশি চরম ক্ষোভের জন্ম দেয়।
স্কুলটির ফেসবুক পেজে ইন্ডিয়ানা থেকে সুসান ভ্যান্ডারওয়্যার নামে একজন লিখেন, এই খারাপ লোকের দ্বারা আক্রান্ত সেইসব পরিবারের জন্য আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
স্কুলটি লাইভ, লার্ন, লাভ, লিড স্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষা কর্মসূচি চালিয়ে থাকে। বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন শিক্ষাবর্ষের শেষ দিনটি বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন