- সারাদেশ
- কারাগারে ৮৪ হাজার আসামি, ৬০ হাজারই মাদক মামলার
কারাগারে ৮৪ হাজার আসামি, ৬০ হাজারই মাদক মামলার

‘দেশের কারাগারে প্রায় ৮৪ হাজার ব্যক্তি আটক রয়েছে। এর মধ্যে ৬০ হাজারই মাদক মামলার আসামি। একটা সময় দেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিলো সন্ত্রাসবাদ দমন, দ্বিতীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ। সময়ের বিবর্তনে মাদক নিয়ন্ত্রণই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের প্রতিটি সেক্টরের মানুষকে নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে বিভাগীয় কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। রোববার দুপুরে খুলনা নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুস সবুর মন্ডল, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনুর রশীদ এবং খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ সামাজিক ও পরিবারিক জীবন নিশ্চিত করতে মাদক নির্মূলের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, উন্নয়নের মূল শর্ত হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা। মাদকের কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। তাই এই কর্মপরিকল্পার লক্ষ্য হলো মাদকসেবীর সংখ্যা যেন আর একটিও না বাড়ে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। সুপারিশমালায় উল্লেখযোগ্য মাদকের প্রভাবে মরণব্যাধির বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে মাদকবিরোধী কমিটি করা এবং চাকরি, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ বিবিধ ভাতা প্রদানে ড্রাগ এডিকশন টেস্ট করার কথা বলা হয়।
কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন