বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় পারভিন আক্তার (২৪) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের অংশারঝিরিস্থ নিজ বসতঘরের পাশের মুরগির খামার ঘর থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃত পারভিন আক্তার অংশারঝিরির বাসিন্দা আবছার উদ্দিনের স্ত্রী ও মৃত আবদুর শুক্কুরের মেয়ে। পারভিনের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে স্বামী আবছার উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা পারভিন আক্তারকে মেরে ফেলেছে বলে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে জানায় আবছার উদ্দিন। খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন ও পারভিন আক্তারের ভাই জিয়াবুল সহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান। সেখানে পারভিনের মরদেহের সুরতহাল দেখে ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তারা আবছার উদ্দিনকে আটকে রেখে শুক্রবার সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এদিকে মৃত পারভিন আক্তারের ভাই জিয়াবুল হকসহ স্থানীয়রা জানায়, আবছার উদ্দিন ও ফোরকান- এরা সম্পর্কে আপন চাচা-জেঠাত ভাই হয়। উভয়ের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় হাঁস-মুরগি ও ছাগল নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে সম্প্রতি ফোরকানের একটি ছাগল মেরে ফেলে আবছার উদ্দিন। তারা আরও বলেন, গত ১ জুন একই পাড়ার মাওলানা নুর মোহাম্মদের পুকুরে ফোরকান উদ্দিনের শিশু ছেলে মো. তানবীরের ভাসমান মরদেহ পাওয়া যায়। স্বজনদের সন্দেহ এ ঘটনায় আবছার উদ্দিন জড়িত থাকতে পারে। এ সন্দেহ এড়াতে আবছার উদ্দিন নিজের স্ত্রী পারভিন আক্তারকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে ফোরকানদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে ধারণা অনেকের।

এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গৃহবধূ পারভিন আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী আবছার উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।