চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় একের পর এক লাশ আসছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। এ পর্যন্ত ৩৩টি পোড়া লাশ এসেছে। এতে হাসপাতাল এলাকায় পোড়া লাশের গন্ধ বইছে।

সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন। হাসপাতালটির বার্ন ইউনিটজুড়ে লাশ পোড়া গন্ধ আরও ব্যাপক।

চমেক হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা গেছে, একের পর এক পোড়া লাশ আসছে। বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ৩৩টি মরদেহ এসেছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ আসছে। কোনো অ্যাম্বুলেন্সে দুটি, আবার কোনো অ্যাম্বুলেন্সে চারটি পর্যন্ত মরদেহ আনতে দেখা গেছে। মরদেহ আসা অব্যাহত রয়েছে। তাই নিহত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে একটি কক্ষে রাখা হয়েছে লাশগুলো।

নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ২০ জনসহ দেড়শতাধিক লোক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।

কনটেইনার ডিপোতে এখনও আগুন জ্বলছে। এ অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্রায় ২০০ জনের একটি দল।