সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় সব রোগী কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জনের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। যাদের একজনের কর্ণিয়া মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাকে প্রয়োজনে বিদেশে ও বাকি পাঁচ জনকে ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল আই কেয়ারের সাবেক মহাপরিচালক আধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক।

মঙ্গলবার আধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। পরে দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন এই বিখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ।

আধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি আহত রোগীদের সার্বিক শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে এখানে এসেছি। পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন সবার চোখে কোনো না কোনো সমস্যা পেয়েছি। চোখের পাশাপাশি অনেকের শরীরের হাত, পা, মাথাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আহতদের মধ্যে ছয়জনের চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের মধ্যে একজনের চোখের কর্ণিয়া ফেটে গেছে। তাকে প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিতে হতে পারে। তাকে সুস্থ করে তুলতে সব উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা চাই গুরুতর আহত ছয় রোগীকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে। তবে এদের অনেকের আবার নানা অঙ্গের সমস্যাও প্রকট রয়েছে। তাই সবকিছুই বিবেচনা করে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’