চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক বছরের শিশুর কামড়ে একটি সাপের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার মা। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের বিলপাড়ায় নিজ ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস ওই গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম ও শিলা খাতুন দম্পতির মেয়ে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ আছে বলে জানা গেছে। তার বয়স ১৬ মাস।

শিশুটির মা শিলা খাতুন জানান, সকালে চাচাতো ভাই কাউসারের সঙ্গে ঘরে খেলছিল জান্নাতুল। খেলতে খেলতে দুজনই খাটের নিচে চলে যায়। পরে একটি মৃত সাপের বাচ্চা হাতে নিয়ে খাটের নিচ থেকে জান্নাতুলকে বের হয়ে আসতে দেখেন মা। সাপটির শরীরে দুই জায়গায় কামড়ের চিহ্ন দেখতে পান তিনি। পরে শিশু ও মৃত সাপটিকে নিয়ে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যান।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, এই ঘটনাটি অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। মনে হয়েছে, শিশুটি খেলার ছলে সাপটিকে ধরে কামড় দেয়। যার কারণে সাপটি মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, ছোট মানুষ হয়তো না বুঝে দাঁত দিয়ে সাপের বাচ্চাকে কামড় দিয়েছে। সাপের শরীরে শিশুর দাঁতের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জান্নাতুলকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরপর তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। তবে শিশুটি আশঙ্কামুক্ত।

পরিবেশবাদী সংগঠন পানকৌড়িরর প্রতিষ্ঠাতা বখতিয়ার হামিদ সাপের ছবি দেখে বলেন, সাপটির নাম ঘরগিন্নি। এটি ঘরের আশপাশেই থাকে। সম্পূর্ণ নির্বিষ। এরা টিকটিকি খাওয়ার জন্য ঘরের চালে অথবা দেওয়ালে থাকে বলে ঘরগিন্নি বলা হয়।