কুয়াকাটা সৈকতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া পর্যটক ফিরোজ শিকদার বাড়ি ফিরেছেন। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা এলাকার এ বাসিন্দাকে আজ মঙ্গলবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। এর আগে ভোরে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন ফিরোজ।

ফিরোজ জানান, গত ২৭ মে আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে কুয়াকাটায় বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যান। কিছুক্ষণ ভাসার পর একটি কলাগাছ পেয়ে সেটি ধরে বাঁচার লড়াই চালান। এ সময় ভারতীয় জেলেরা তাঁকে উদ্ধার করেন এবং পরদিন দেশটির নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন। তাঁরা তাঁকে চেন্নাই নিয়ে যান। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কলকাতা; অবশেষে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

তিনি ভারতে গিয়ে তাঁর ভাই মাসুম শিকদারের কাছে ফোন করে নিখোঁজের ব্যাপারে একই কথা বলেছিলেন। তবে এ ব্যাখ্যা অনেকের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। কলাপাড়া উপজেলা জেলে ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি নুরু মাঝি বলেন, লবণাক্ত পানিতে ৭-৮ ঘণ্টা কেউ ভাসলে তাঁর চেহারা ও ত্বকের দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটে। অনেক সময় ত্বকে ফোসকা পড়ে এবং সাদা হয়ে যেতে পারে। ফিরোজের বেলায় তার কোনোটিই দেখা যাচ্ছে না।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ইনচার্জ পরিদর্শক ইলিয়াস জানান, ইমিগ্রেশনে তাঁকে আটকানোর পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ওপারের এক লোক তাঁকে দিয়ে গেছেন। বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি বিএম কামাল হোসেন জানান, ফিরোজ দেশে প্রবেশের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, ফিরোজ নিখোঁজ হওয়ার পর এ থানায় জিডি করা হয়। তিনি ফিরে আসায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কলাপাড়া সার্কেল) আবুল কালাম আজাদ জানান, আজ রাত ৮টায় ফিরোজকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মহিপুর থানার এসআই আসাদ ঘটনাটির তদন্ত করছেন। নিখোঁজ থাকার বিষয়ে ওই পর্যটক মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তা উঠে আসবে।