শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নে আলী হোসেন সরদার (৫৫) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার টুংচর নতুন রাস্তায় তিনি হামলার শিকার হন। 

স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। 

কৃষক আলী হোসেন সরদার চিতলিয়া ইউনিয়নের মজুমদারকান্দী গ্রামের মৃত নোয়াব আলী সরদারের ছেলে। তিনি সদর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপ‌তি ও আসন্ন চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাস্টার হারুন অর রশিদ হাওলাদারের সমর্থক। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিতলিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার এবং সদর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপ‌তি ও আসন্ন চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাস্টার  হারুন অর রশিদ হাওলাদারের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। 

গত ৩ মে মজুমদার কান্দী গ্রামে এই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুস সালাম হাওলাদারের সমর্থক কুদ্দুস বেপারী নিহত হন। এরপর সালাম হাওলাদারের সমর্থকরা হারুন হাওলাদারের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। আলী হোসেন সরদারের বাড়িতেও হামলা ও লুটপাট করা হয়। কুদ্দুস বেপারী খুনের আসামিও করা হয় আলী হোসেন সরদারকে। হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে আলী হোসেন সরদার নিজ বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী টুংচর এলাকায় গিয়ে থাকতেন। শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় প্রতিপক্ষ।  

এ বিষয়ে হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, আলী হোসেন সরদার আমার দল করার কারণে সালাম হাওলাদারের লোকজন নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তাকে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমি হামলাকারীদের বিচার দাবি করছি। 

এ বিষয়ে জানার জন্য আব্দুস সালাম হাওলাদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তার ফোন রিসিভ করেননি। 

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।