কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের আর মাত্র দুদিন বাকি। শেষ সময়ে এসে ১৮ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক (সাক্কু)।

রোববার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ারদীঘির পাড়ের নিজ বাসভবনে সাংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। নির্বাচনি ইশতেহারে আবারও তিনি কুমিল্লাকে বিশ্বমানের শহরে পরিণত করার ঘোষণা দেন। এছাড়া ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নানা প্রকল্প হাতে নেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।

আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হওয়ার এক দিন আগে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হলো।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ বিগত সিটি নির্বাচনে তিনি ২৭ দফা নির্বাচনি ইশতেহার দিয়েছিলেন। এর ৭০ শতাংশ পূরণ করেছেন বলে দাবি করেন সাক্কু।

কুমিল্লাকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার কথা জানিয়ে সাক্কুর ঘোষিত ১৮ দফা ইশতেহার হলো- কুমিল্লা নগরের অবকাঠামো (সড়ক, জলাবদ্ধতা, যানজট নিরসন) উন্নয়ন, সড়কবাতি লাগানো, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, বিনোদন, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বাজার, শপিং মল, ক্রীড়া ও খেলার মাঠ, বস্তিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, করোনার সময়ে ত্রাণ কার্যক্রম, নিরাপত্তা বিধান, মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিংমুক্ত সমাজ, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা প্রদান, পাঠাগার স্থাপন ও গৃহকর গণশুনানির মাধ্যমে নির্ধারণ।

ইশতেহারে সাক্কু বলেন, কুমিল্লার উন্নয়নের সম্ভাবনা সীমাহীন। আজ আমরা যা যা কিছু করার কথা ভাবছি, হয়তো ইনশাল্লাহ আগামী বছর আরও বেশি কিছু করতে চাইবো এবং পারবো।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ বছরে ৭০ শতাংশ কাজ করেছি। এবার বাকি ৩০ শতাংশ ও এবারের ১৮ দফা যুক্ত হলো। নগরীর ভোটাররা টেবিল ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে আছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে এবারও জয়ী হব।

কুমিল্লা নগরীকে দেশের মধ্যে আদর্শ মহানগর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সাক্কু বলেন, এটা আমার আশা নয়, বিশ্বাস। এ বিশ্বাস বাস্তবায়নে তিনি নগরবাসীর সমর্থন ও সহায়তা কামনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মো. কাইমুল হক, শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, তারেক আবদুল্লাহ ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য নজরুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।