চবিতে ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর

সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ার দেওয়ার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে প্রকৌশল অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তামজিদ উদ্দিন নামের ওই শিক্ষার্থীকে ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

তামজিদ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ‘বিজয়’ গ্রুপের দুজন কর্মী দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তামজিদকে ক্লাসরুম থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যান। এরপর সাত থেকে আটজন নানা জিজ্ঞাসাবাদ ও গালাগাল করতে থাকেন। একপর্যায়ে তামজিদকে মারধর করে প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে যান তারা।

জানা যায়, প্রক্টর কার্যালয়ে তামজিদকে তিন ঘণ্টা আটকে রাখার পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে বিকেল চারটার দিকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর তামজিদ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছাত্র অধিকারসহ সব ধরনের রাজনীতি থেকে নিজেকে বিরত রাখার ঘোষণা দেন।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের নেতা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস  বলেন, সে বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে কটূক্তি করেছে । যেহেতু আমরা ছাত্রলীগের কর্মী আমাদের কাজ হলো তাদের শায়েস্তা করা। বার বার একই কাজ করায় তাকে আমরা প্রক্টরের কাছে সোপর্দ করি। 

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের এই নেতা। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, এক ছাত্রকে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে তিনি শুনেছেন। তবে তিনি অপর একটি বৈঠকে থাকায় বিষয়টি সহকারী প্রক্টররা দেখছিলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তারা তামজিদকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক মহিউদ্দিন সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, ভবিষ্যতে আর এ ধরনের পোস্ট দেবেন না শর্তে তামজিদ উদ্দিনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বিকেল চারটায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।