- সারাদেশ
- শেখ রকিব এখন আরও নির্ভার, সরে দাঁড়ালেন দলীয় সব প্রতিদ্বন্দ্বী
গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন
শেখ রকিব এখন আরও নির্ভার, সরে দাঁড়ালেন দলীয় সব প্রতিদ্বন্দ্বী

ফাইল ছবি
গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ রকিব হোসেন এখন অনেকটাই নির্ভার। আওয়ামী লীগপন্থি ৯ মেয়র প্রার্থীর সবাই তার সমর্থনে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে তার বিজয়ের পথ এখন অনেকটাই মসৃণ বলে স্থানীয়দের ধারণা। আগামী বুধবার এখানে ভোট হবে।
শেখ রকিবের সমর্থনে শেষ মুহূর্তে রোববার রাতে মেয়র প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান লিটন নির্বাচনী মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ দিনই সদ্য বিদায়ী গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকুও শেখ রকিবকে সমর্থন দিয়েছেন।
এছাড়া আগেই দলীয় ৭ মেয়র প্রার্থী ভোটের মাঠ ছেড়ে তাকে সমর্থন দেন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বদরুল আলম বদর, সাবেক মেয়র রেজাউল হক সিকদার রাজু, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সভাপতি জিএম শিহাব উদ্দিন আজম, সাবেক কাউন্সিলর দিলীপ কুমার সাহা দিপু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এসএম নজরুল ইসলাম নূতন ও আবুল ফাত্তাহ সজু। তারা সবাই শেখ রকিবের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ কাউকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দিয়েছিল।
এখন নির্বাচনী মাঠে শেখ রকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী মূলত ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী দিদারুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের এ দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা তেমন চোখে পড়ছে না। নির্বাচনী প্রচারণায় তার কোনো টিমকেও কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি তার কোনো নির্বাচনী সমাবেশও হচ্ছে না। অন্যদিকে শেখ রকিবের পক্ষে পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের আনাচেকানাচে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলছে।
শেখ রকিব বলেন, গোপালগঞ্জ পৌরবাসী আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত গোপালগঞ্জ পৌরসভাকে একটি আধুনিক, বাসযোগ্য ও নান্দনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলব।
ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী দিদারুল ইসলাম জানান, তিনি একটি মাইক দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিছু পোস্টারও লাগিয়েছেন। বৃষ্টিতে সেগুলো ছিঁড়ে পড়ে গেছে। তার নারী ও পুরুষ টিম কাজ করছে। নির্বাচন নিয়ে তার কোনো শঙ্কা নেই। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত তিনি লড়ে যাবেন। এতে প্রত্যাশিত ভোট পাবেন বলে আশাবাদী তিনি।
মন্তব্য করুন