পিরোজপুরে মানুষকে ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এহসান গ্রুপের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সিআইডির ঢাকার তদন্ত কর্মকর্তাদের দাখিল করা প্রতিবেদনের আলোকে গত বৃহস্পতিবার পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

পিরোজপুর আদালতের পিপি খান মো. আলাউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আদালত তদন্ত কর্মকর্তাদের দাখিল করা প্রতিবেদনে সংযুক্ত এহসান গ্রুপের কর্ণধার মুফতি রাগীব আহসানসহ গ্রেপ্তার আসামি ও তাঁদের নিকটাত্মীয়দের স্থাবর সম্পত্তি এবং তার ওপর নির্মিত স্থাপনা ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি ধর্মপ্রাণ মানুষকে ঠকিয়ে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। একই সঙ্গে এসব অর্থের উৎস গোপন করায় রাগীব আহসানের ৪০টি, তাঁর স্ত্রী সালমা আহসান, ভাই আবুল বাশার, খাইরুল ইসলাম, শামীম হাসান ও মাহমুদুল হাসানের ৫টি দলিল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

হালাল ব্যবসায় বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে এহসান গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে মুফতি রাগীব আহসান ও আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে সাধারণ গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা লুটে নেন। এ ঘটনায় পিরোজপুরে এখন পর্যন্ত ১৯টি মামলা হয়েছে। সর্বশেষ সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগ রাগীব আহসান, তাঁর স্ত্রী সালমাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে।

এসব মামলায় পুলিশ রাগীব আহসান, তাঁর ভাই আবুল বাশার, খাইরুল ইসলাম, শামীম হাসান ও মাহমুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে।