- সারাদেশ
- আনোয়ারার পরৈকাড়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, আহত অর্ধশতাধিক
আনোয়ারার পরৈকাড়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, আহত অর্ধশতাধিক

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকাড়া ইউনিয়নের উপনির্বাচনের প্রচারণার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার বিকালে উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ছত্তারহাট এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এলাকা এখনও থমথমে রয়েছে।
আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি হুমায়ুন কবির সমকালকে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন-বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, চাতরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন হিরু ও রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দীন।
আহতরা সবাই পরৈকোড়া ইউনিয়নের বাইরের লোকজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া কামাল উদ্দিন নামে একজন পুলিশ কনস্টেবলও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকালে পরৈকোড়া ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আজিজুল হকের সমর্থনে গণসংযোগে নামেন আনোর্য়া উপজেলার আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা মামুরখাইন এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজিম উদ্দিনের নির্বাচনী হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে।
পরে ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র পাঁচ প্রার্থীর সমর্থকরা জড়ো হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ইউনিয়নের বাইরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালান।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, ‘পরৈকোড়া ইউনিয়নের পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন একজোট হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে।’
পরৈকোড়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আজিজুল হক বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আমার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দীন বলেন,‘সোমবার বিকালে বহিরাগত লোকজন আমার নির্বাচনী অফিসে হামVBf চালিয়েছে। এতে আমি আহত হয়ে বাড়িতে চলে যাই। ছত্তারহাটে কি হয়েছে আমি জানি না।’
মন্তব্য করুন