- সারাদেশ
- ভিটেমাটি হারিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন তারা
ভিটেমাটি হারিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন তারা

ছবি: সমকাল
বসতভিটা হারিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে গৃহহীন পরিবারগুলো। রোববার সকাল ১০টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের করালগ্রাসে ভিটেমাটি হারিয়েছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার পিপুলিয়া, বাগবাড়ী, দেলুয়াবাড়ী, বানিয়াপাড়া ও মধ্য উড়িয়া গ্রামের অন্তত দেড় শতাধিক পরিবার।
উজানের ঢল ও স্থানীয় ভারি বর্ষণে রোববার সকালে ফুলছড়ির তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ব্রহ্মপুত্র নদের কোল ঘেঁষা উপজেলার উড়িয়া, গজারিয়া, ফুলছড়ি, ফজলুপুর ও এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। নতুন করে ভাঙনে ফুলছড়ি ইউনিয়নের পিপুলিয়া, বাগবাড়ী, দেলুয়াবাড়ী, উড়িয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া ও মধ্য উড়িয়া গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ভাঙনে দিশেহারা লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নৌকায় করে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন।
ভাঙন কবলিত শেফালী বেগম বলেন, ‘এভাবে নদী ভাঙন আগে কোনোদিন দেখিনি। ছেলেমেয়ে, গবাদিপশু আর কিছু আসবাবপত্র ছাড়া সব নদীতে ভেসে গেছে। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি, কিন্তু ছেলেমেয়েদের কী খাওয়াবো সেই চিন্তায় আছি। সব তো ভেসে গেছে, শুকনো খাবারের প্রয়োজন, কিন্ত তার ব্যবস্থা নেই আমাদের কাছে।’
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে বসবাসকারী আব্দুল ওয়াজেদ মিয়া বলেন, ‘ভাঙন কবলিত তিনটি পরিবারকে তাৎক্ষণিক বাড়ির আঙিনায় আশ্রয় দিয়েছি। সরকার তাদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করলে ভালো হতো।’
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল হান্নান বলেন, ‘গত তিনদিনে চরাঞ্চলের পিপুলিয়া, বাগবাড়ী ও দেলুয়াবাড়ী গ্রামের অনেক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ভাঙনের ও গৃহহীন লোকজনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।’
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, শুকনো খাবারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। স্ব-স্ব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বন্যা ও নদী ভাঙনের শিকার লোকজনের তালিকা চাওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।
মন্তব্য করুন