বগুড়ার আদমদীঘিতে বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মাথায় সাদিয়া আক্তার মেহা (১৭) নামের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার সান্তাহার ইউপির ছাতনি মৃধাপাড়ায় তার স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

সাদিয়া আক্তার মেহা আদমদীঘির পূর্ব ছাতনি গ্রামের টিটু হোসেনের মেয়ে ও একই গ্রামের মৃধা পাড়ার শ্যামলের স্ত্রী। সাদিয়ার বাবা টিটু হোসেনের দাবি, যৌতুকের কারণে তার মেয়েকে কৌশলে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।       
                                   
তিনি জানান, তার মেজ মেয়ে সাদিয়া আক্তার মেহাকে একই গ্রামের মৃধা পাড়ার আলাউদ্দিনের ছেলে শ্যমলের সাথে ছয় মাস আগে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় ও পরে পাত্রপক্ষেন দাবি করা ৫০ হাজার টাকা যৌতুক পরিশোধ করা হলেও গহনা দেওয়া বাকী ছিল। এ কারণে প্রায়ই মেহাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় মানসিক নির্যাতন করতেন। গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মোবাইল ফোনে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি তার শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে মাটির ঘরের দ্বিতীয় তলায় শোওয়ার ঘরের তালার বাঁশের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মেহার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে। পরে তিনি নিজেই মেয়ের লাশ নামান।

 মেহার শাশুড়ি শিল্পী বেগমের দাবি, যৌতুক সংক্রান্ত কারণে পুত্রবধূকে কোন চাপ দেয়া হয়নি।

আদমদীঘি থানার উপ পরিদর্শক আবু হাসান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।