- সারাদেশ
- ‘বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায়’ নোয়াখালীতে নারীকে গলাকেটে হত্যা
‘বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায়’ নোয়াখালীতে নারীকে গলাকেটে হত্যা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে জান্নাতুল ফেরদাউস পাখির (৩০) নামে এক নারীকে গভীর রাতে ডেকে নিয়ে হাত-পায়ের রগ ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
অভিযোগ এসেছে, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় পাখিকে হত্যা করেছে তার কথিত প্রেমিক শাহাদাত হোসেন জীবন (২৪)।
শাহাদাত হোসেন জীবন সোনাইমুড়ী উপজেলার পিতাম্বরপুর গ্রামের শামছুল আলম দিলসাদের ছেলে।
হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর অভিযুক্ত জীবনকে গ্রেপ্তার করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
গত শনিবার গভীর রাতে সোনাইমুড়ীর দেওটি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। সে পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক।
রোববার দুপুর ১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম।
তিনি জানান, রোববার সকালে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ দেওটি ইউনিয়নের পিতাম্বরপুর গ্রামের একটি সবজি ক্ষেত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চুরি, মোবাইল ও ওড়না উদ্ধার করেছে।
নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস পাখির (৩০) ২০০৮ সালে প্রথমবার বিয়ে করেন । তিন বছর সংসার করার পর তার ডিভোর্স হয়। ওই সংসারে ৬ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে তার। পরে ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ে করলে ওই সংসারও তার করা হয়নি।
চলতি বছরের ২৯ মে জীবনের সঙ্গে পরিচয় হয় পাখির। জীবন বিবাহিত ও সন্তানের বাবা- এই তথ্য গোপন রেখে পাখির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে পাখি জীবনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়।
গত ১৫ জুন রাতে জীবন পাখিকে সোনাইমুড়ীর পিতাম্বরপুর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির সংলগ্ন সবজিক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে পাখিকে হত্যা করে সে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত নারীর ভাই বুধবার সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তিনি জানান, রোববার বিকেলে ঘাতক শাহাদাত হোসেন জীবনকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তুলে পুলিশ।সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট তৌহিদুল ইসলাম তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন করেন।
মন্তব্য করুন