জন্মদাত্রী মাকে হারানোর পর এবার যমজ দুই বোনের কোলও আলাদা হয়ে গেছে। এর মধ্যে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি এলাকায় চাচার বাসায় ঠাঁই হয়েছে তাসকিয়া ইসলাম তানহার। অপর বোন তাকিয়া ইয়াসমিন তিন্নিকে নেওয়া হয়েছে মিরসরাইয়ের বামুনসুন্দর হাটের গ্রামের বাবার বাড়িতে।

শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকায় মায়ের জানাজা ও দাফন শেষে বাবার সঙ্গে মিরসরাই এবং চাচার সঙ্গে কাপ্তাইয়ে আলাদা ঠিকানায় চলে যায় দুই বোন।

এর আগে শুক্রবার রাতে ফিরোজশাহ ১ নম্বর ঝিল এলাকায় পাহাড়ধসে তিন্নি-তানহার মা শাহীনুর আক্তার মারা যান। এসময় তার কোলেই ছিলো দুই যমজ শিশু তাসকিয়া ইসলাম তানহা ও তাকিয়া ইয়াসমিন তিন্নি। পাহাড়ধসে মায়ের মৃত্যু হলেও অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে এই দুই শিশু।

তিন্নি-তানহার বাবা জয়নাল আবেদীন বলেন, স্ত্রী শাহীনুর ও তার বোনকে দাফন করার পর শিশু তানহাকে তার চাচা মো. ইমরান কাপ্তাইয়ের বাসায় নিয়ে গেছেন। শিশু তিন্নিকে নিয়ে আমি মিরসরাইয়ে গ্রামের বাড়ি চলে এসেছি। এখানে তিন্নি তার দাদি সখিনা বেগমের কাছে থাকবে। তিন্নির সঙ্গে তার চার বছরের ভাই তরিকুল ইসলাম তানিম মিরসরাই থাকবে।

জয়নাল জানান, দুধের দুই শিশুকে বাঁচাতেই মূলত দুই জায়গায় পাঠানো হয়েছে। মাঝেমধ্যে তারা কান্নাকাটি করছে।

জানা যায়, ভাইয়ের স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে ইমরান ও তার স্ত্রী কাপ্তাই থেকে চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় আসেন। যাওয়ার সময় তানহাকে সঙ্গে করে নিয়ে যান।

নিহত শাহীনুরের স্বামী জয়নাল আবেদীন চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। পোষাককর্মী স্ত্রী শাহীনুর তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাবা, মা ও বোনের সঙ্গে বরিশালঘোনা ঝিল এলাকায় বসবাস করতেন তিনি।