কিশোরগঞ্জের ইটনায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রের একটি কক্ষে জন্ম নেওয়া বানভাসি হালেমা বেগমের সন্তানের নাম রাখা হয়েছে ‘বন্যা’। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণে গত শনিবার নিজ ভিটেবাড়িতে পানি ওঠায় উপজেলা সদর হীরনপুর থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার পর কন্যাসন্তানের জন্ম দেন হালেমা খাতুন।

ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী হাজেরা বেগম ও হালেমার মা শিল্পী আক্তার বলেন, প্রসবব্যথা নিয়েই হালেমা বন্যাআশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন। হালেমার স্বামী দিনমজুর মাহাবুব মিয়া পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। মাহাবুব মিয়ার পিতা কহুল উদ্দিন নিজে দাদা হওয়ার খবর পেয়ে রোববার ভোরে নিজ বাড়ি ইটনা উপজেলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। হালেমা বর্তমানে তার মা শিল্পী আক্তারের তত্তাবধানে রয়েছেন। মা ও সন্তান সুস্থ রয়েছে। তবে হালেমার গায়ে আজ রোববার একটু জ্বর রয়েছে বলে জানান শিল্পী আক্তার।

আশ্রয় কেন্দ্রে মেয়ে শিশুটির জন্মের খবরে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। সবাই শিশুটিকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করে। বন্যার আশ্রয়কেন্দ্রে শিশুটির জন্ম নেওয়ায় রোববার সবাই মিলে শিশুটির নাম ‘বন্যা’ রাখেন। তারা বলেন,  বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে জন্ম বলেই কন্যাশিশুর নাম হয়েছে ‘বন্যা’।

ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা আক্তার জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে কন্যাশিশুর খরবটি পেয়ে খুব ভালো লাগছে। বর্তমানে আমি বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে রয়েছি। আমি লোকজন পাঠিয়ে খবর নিয়েছি। মা ও শিশু সুস্থ রয়েছে। পরিবারটিকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বওে তিনি জানান।

ইটনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান বলেন, খরবটি পেয়ে বেশ ভালো লেগেছে। দুর্দিন-দুঃসময়ে শিশুটির জন্ম নিয়েছে। পৃথিবী থেমে থাকে না। বন্যার ভয়াবহ সময়ে শিশুটির জন্ম বলে দিচ্ছে- সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার নামই জীবন। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার জন্য পরিষদের লোকজনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।