কয়েক দিনের টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ি শহরের সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্লটিলা, খাগড়াপুর, তেঁতুলতলা, কৈবল্যপীঠ, নেন্সি বাজার, মোল্লাপাড়া, কলাবাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

রোববার প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো।

সদর পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি ভারী বর্ষণের সময় অন্যত্র সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে স্থানীয়দের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।

ইউএনও জেসমিন আক্তার জানান, পৌর এলাকায় আটটিসহ সদর উপজেলায় মোট ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সব উপজেলায় পাহাড়ে বসবাসকারীদের সতর্ক থাকার কথা জানিয়ে প্রয়োজনে প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পাহাড়ধস রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ হিসেবে পাহাড় কাটা বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের অনুরোধ জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু দাউদ।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পৌর এলাকায় ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ৩ হাজার ৫০০ পরিবারসহ পুরো জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছে প্রায় ৩৫-৩৬ হাজার পরিবার।