চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মাদ্রাসাছাত্র সাত বছরের ইফতেখার মালেকুল মাশফি হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সাড়ে পাঁচ মাস পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত দল হত্যার রহস্য উদঘাটন করে।

তারা বলছেন, মাশফিকে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে হত্যা করা হয়। মূলত ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়েই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

রোববার ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও কম্বল উদ্ধার করে পিবিআই।

বোয়ালখালী উপজেলার চরণদীপ আল্লামা অছিউর রহমান হেফজখানা ও এতিমখানার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল মাশফি। গত ৫ মার্চ মাদ্রাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পিবিআই কর্মকর্তা নাজমুল হাসান সমকালকে বলেন, তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত হেফজ বিভাগের দুই ছাত্র ইদু আলম খান সাকিব (১৫) ও তৌসিফকে (১৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও কম্বলসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তাররা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।