বাঁশকাবাব ও বাঁশপাতার চায়ের স্বাদ গ্রহণের পর যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার বললেন, ‘মান ও স্বাদ মন কেড়েছে। আইডিয়ার চিন্তাধারা সবসময়ই অনন্য। শিক্ষার্থীরা এখানে উদ্যোগ গ্রহণ ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অবদান রাখছে।’

‘সুস্থ যদি থাকতে চান; নিয়মিত বাঁশ খান’- ব্যতিক্রমী এ স্লোগান নিয়ে যশোরের আইডিয়া পিঠাপার্ক সংযোজন করেছে 'বাঁশকাবাব ও বাঁশপাতার চা'। শিক্ষার্থীদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান 'আইডিয়া' 'বাঁশ খাওয়া'কে স্বাস্থ্যসম্মত ও ভেষজগুণ সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে ছড়িয়ে দিতে এ দুই খাবার যুক্ত করেছে।

আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার সাবেক সভাপতি শাহরিয়া ইয়াসমিন মীম জানান, সরু তল্লা বাঁশের মধ্যে বিভিন্ন মসলা দিয়ে ম্যারিনেড করা মাংস কয়লায় পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাঁশকাবাব। আর বাঁশের কচি পাতা প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হচ্ছে বাঁশপাতার চা।

তিনি আরও জানান, কাঁচা বাঁশের মধ্যে থাকা রসে কয়লার আগুনে পুড়িয়ে মাংস খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি রয়েছে এর ঔষধি গুণ। পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে বাঁশ জাতীয় খাবার পরিচিত হলেও যশোরাঞ্চলে এ ধরনের কাবাবের প্রচলন এই প্রথম। যশোর শহরের খড়কির আইডিয়া পিঠাপার্কে এলেই মিলবে অনন্য স্বাদের এ খাবার।

আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থা ও পিঠা পার্কের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল মধুসূদন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীন জানান, বাঁশকাবাব যদিও আদিবাসীদের উদ্ভাবন, আইডিয়ার কর্মীরা এর আধুনিকায়ন করেছেন। বাঁশপাতার চা একেবারেই ইউনিক।