- সারাদেশ
- ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না ভূমি কর্মকর্তা
ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না ভূমি কর্মকর্তা

প্রতীকী ছবি
মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারিতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা রাফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে নামজারির জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দিনমজুর করিম মিয়া। তিনি খোর্দ্দ জোনাইল এলাকার বাসিন্দা।
করিম মিয়ার ভাষ্য, আড়াই শতক জমির নামজারির জন্য গুনারীতলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন তিনি। এ নিয়ে ভূমি কর্মকর্তা তাঁকে বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন। পরে একটি মাধ্যমে জানতে পারেন, ঘুষ ছাড়া কাজ করবেন না কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম। নিরুপায় হয়ে নামজারির জন্য তাঁকে ৭ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন। টাকা দেওয়ার পরও দীর্ঘদিন ঘোরানো হয়। বাধ্য হয়ে বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগে বাকুরচর গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়ার ১৩ শতক জমি নামজারির জন্য ৬ হাজার টাকা ঘুষ নেন ওই কর্মকর্তা। টাকা নিয়ে টালবাহনা দেখাতে থাকলে তিনি দুদকের দ্বারস্থ হন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ৬ মার্চ গুনারীতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযান চালায়। দুদকের উপস্থিতি টের পেরে অফিস থেকে পালিয়ে যান রাফিউল ইসলাম। পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও ভুক্তভোগী চাঁন মিয়ার সঙ্গে বিষয়টির মীমাংসা করে ফেলেন রাফিউল। ভূমি অফিসে হয়রানি নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি সেবাপ্রত্যাশীদের।
ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন রাফিউল ইসলাম। তাঁর দাবি, অভিযোগকারী করিম মিয়াকে চেনেন না। না চিনতে পারলেও তিনি বলেন, করিম যে জমি নিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন, সে জমি তাঁর দখলে নেই। পৈতৃক সম্পত্তি দখলে না থাকলে কাগজ অনুযায়ী নামজারি দেওয়া যাবে কি? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলিশায় রিছিল। তাঁর ভাষ্য, নামজারির জন্য নির্ধারিত ফি ছাড়া টাকা নেওয়ার বিধান নেই। এই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা দেওয়া-নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন