আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য কমলেও দেশীয় বাজারে না কমায় প্রশ্ন তুলেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাবের পক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রশ্ন তোলা হয়। এত অবিলম্বে আন্তজাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতা নাজের হোসাইন বলেন, 'যখন বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তি, তখন পণ্যটি আমদানিতে সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার ছাড়াও বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর ওই সুবিধা নিয়ে আমদানি করা তেল দেশের বাজারে আসলে দাম কমার কথা ছিল। কিন্তু ভোক্তারা তার সুফল পাচ্ছেন না। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে, অথচ দেশে দাম বাড়ানো হচ্ছে। তাতে ভোক্তারা চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।'
গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম পাঁচবার ওঠানামা করেছে উল্লেখ করা করে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারসাজিতে অক্টোবরের শেষ দিক থেকে বেসামাল হয় ভোজ্যতেলের বাজার। ফলে অক্টোবরে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটার ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে প্রতি লিটার ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। সরকারের পক্ষ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সে সময় প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সে সময়ও বেঁধে দেওয়া দামে ভোজ্যতেল বাজারে পাওয়া যায়নি। একটি ব্যবসায়ীদের একটি মহল তেলের দাম দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটছে। যা দুঃখজনক।'