স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি বলেন, তারা পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার- স্লোগানের মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, এমনকি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত। দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্তদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের সদস্য রুমানা আলীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, যারা দেশে বিশৃঙ্খলা বিঘ্ন সৃষ্টি করে ও সরকার তথা ১৭ কোটি মানুষের অর্জনকে ম্লান করে দিতে চায় তাদেরকে কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের জন্য সোপর্দ করা হবে। 

তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের জানমাল রক্ষা, আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অপরাধী যেই হোক না কেন, যে দলের হোক না কেন তাদেরকে দমনে সরকার অত্যন্ত কঠোর।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, স্বাধীনতার বিপক্ষের অপশক্তি দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। 

তিনি বলেন, এ সরকারের আরেকটি বড় সাফল্য ও অর্জন নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। দেশ যখন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আমেজে মেতে উঠেছে, ঠিক তখনই সেতু উদ্বোধনকে সামনে রেখে সরকারের এ বড় অর্জন ম্লান করে দিতে একটি চক্র অপপ্রচার, গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের এত বড় অর্জন থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে এবং নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থে এ চক্রটি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা তাদের ছাত্র সংগঠনকে দিয়ে এ এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও চেষ্টা করছে।

সরকার বিরোধী চক্রটি শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করাসহ দেশে বিরাজমান গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বিনষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের এ অশুভ তৎপরতাকে প্রতিহত করতে সরকার সর্বদা সজাগ রয়েছে। 

তিনি জানান.সরকার বিরোধী এ স্লোগান প্রদানকারী ব্যক্তিদের যেকোনো গুজব, অপপ্রচার ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রোধে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।