কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর এক গৃহবধূ কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এ ঘটনায় বুধবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী লাল চাঁন মিয়া (৩১) সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য তিনজন হচ্ছে, রন্টু চৌকিদার (৪০), নাসিরুদ্দীন (৩৮) ও শরীফ মিয়া (৩২)। নিহত গৃহবধূর বাড়িও নিকলী উপজেলায়।

নিকলী থানার ওসি মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ সমকালকে জানান, সোমবার রাতে ধর্ষণের পর গৃহবধূকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।

গৃহবধূ মারা যাওয়ার আগে পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনের নাম জানিয়েছে। 

নিহত গৃহবধূর মামা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে স্বামী লাল চাঁন মিয়াসহ সাতজনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০-৪ জনকে আসামি করে বুধবার নিকলী থানায় মামলা দায়ের করেন।

তাদের মধ্যে রনি মিয়া ছাড়া বাকি চার জনকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। 

জাহাঙ্গীর আলমের বরাত দিয়ে নিকলী থানা জানিয়েছে, নয় মাস আগে হাফসরদিয়া গ্রামের মৃত রাজু মিয়ার ছেলে লাল চাঁন মিয়ার সাথে পিতৃহীন মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে লাল চাঁন মিয়া তার স্ত্রীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানোর চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। কিন্তু নানা কৌশলে গৃহবধূ নিজেকে রক্ষা করেছে। 

সোমবার রাত ৮টার দিকে গৃহবধূ বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে শাহপুর রাস্তার মোড় থেকে তাকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পতিত জমিতে ছয়-সাতজন মিলে রাতভর ধর্ষণ করে। তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। স্থানীয়রা গৃহবধূকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।